Header Ads

Header ADS

মানুষ জন্মের সূচনা

মানব জন্মের সূচনা
(১) আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি ‘নুতফাহ’ (পুরুষ ও নারীদের মিলিত শুক্রবিন্দু) থেকে।” সুরা আদ-দাহারঃ ২। 
(২) আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে মানুষেরা!) তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে? ওটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?  সুরা আল-ওয়াক্বিআ’ ৫৮-৫৯।
তাফসীরঃ অর্থাৎ, স্ত্রীদের সাথে সহবাসের ফলে তোমাদের বীর্যের যে ফোঁটাগুলো নারীদের গর্ভে যায়, সেগুলো থেকে মানব আকৃতি আমি সৃষ্টি করি, নাকি তোমরা সৃষ্টি করো? (তাফসীর আহসানুল বায়ান)। 
(৩) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “পুরুষের বীর্য গাঢ় সাদা বর্ণের এবং নারীদের বীর্য পাতলা হলদে বর্ণের হয়ে থাকে। (সহবাসের সময় পিতা বা মাতার মধ্যে) যার বীর্য প্রথমে নির্গত হয়, সন্তান তার মতো হয়ে থাকে।” সহীহ মুসলিমঃ ৬১৭, ইবনে মাজাহঃ ৪২৭।
(৪) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সত্যবাদী নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, “তোমাদের কাউকে যখন সৃষ্টি করা হয়, তখন তাকে তার মায়ের গর্ভে বীর্যাকারে চল্লিশ দিন রাখা হয়, পরে তা রক্ত-পিণ্ডে পরিণত হয়, এরপর তা গোশত-পিণ্ডে পরিণত হয়। তারপর মহান আল্লাহ্ একজন ফেরেশতাকে তার কাছে পাঠান চারটি হুকুম সহ। সে ফেরেশতা তার রিযিক, তার হায়াত, তার আমল এবং সে সৌভাগ্যবান নাকি দুর্ভাগা, তা লিপিবদ্ধ করেন। এরপর সে জড় দেহে রূহ ফুঁকে দেওয়া হয়। অনেক সময় তোমাদের মধ্যে কেউ জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে থাকে, এমন কি সে ব্যক্তি ও জান্নাতের মাঝে কেবলমাত্র এক হাত দূরত্ব থাকে। এ সময় তার তাকদীর তার উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। পক্ষান্তরে অনেক সময় তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের মত আমল করতে থাকে, এমন কি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে। এরপর তার তাকদীর তার উপর প্রভাব বিস্তার করায় সে জান্নাতীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।” আবু দাউদঃ ৪৬৩৫, সহীহ।
(৫) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ্ আদম আ’লাইহিস সালামকে এমন এক মুষ্টি মাটি দিয়ে তৈরী করেন, যা তিনি যমীনের সব অংশ থেকে নিয়েছিলেন। আর এ কারণেই আদম সন্তান ঐ মাটির স্বভাব অনুযায়ী সৃষ্টি হয়েছ; যেমন কেউ সাদা, কেউ লাল এবং কেউ কালো (বর্ণের), আর কেউ এর মাঝামাঝি রংয়ের। আর এ জন্য তাদের কারো স্বভাব নরম, কারো কঠোর; আর কেউ খাবীছ (কাফির, মুশরিক) আবার কেউ পবিত্র স্বভাবের অর্থাৎ মুসলমান।” আবু দাউদঃ ৪৬২০, সহীহ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.