Header Ads

Header ADS

আধুনিক মেয়েদের কিছু হালচাল

আধুনিক মেয়ে!!

মেয়েরা আধুনিক হয়েছে জানতাম,
কিন্তু  এতটা হয়েছে জানতাম না!!

আজকে একটা মেয়েকে দেখলাম রিকশা থেকে নেমে জিন্স প্যান্টের পেছনের পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে রিক্সার ভাড়া দিচ্ছে।
ব্যাপারটা দেখে কিছুক্ষন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ছিলাম।
পরে আবার স্বাভাবিক করে নিলাম।

পৃথিবীতে সবচেয়ে মারাত্মক অনুকরনশীল প্রাণী হল মেয়েরা।
তারা ছেলেদেরকে অনুকরণ  করতে ও পাশ্চাত্য কাফের নারীদের অনুকরণ অনুসরণ করতে বর্তমান সভ্যবাদী সমতাবাদী নারী যুবতী বোনেরা খুব বেশি পছন্দ করে।

তাই তো ছেলেরা জিন্স প্যান্ট পরল, ছেলেদের দেখে তারাও জিন্স প্যান্ট পরা শুরু করে দিল।
ছেলেরা টি-শার্ট পরল ছেলেদের দেখে তারাও টি-শার্ট পরা শুরু করে দিল।
শার্ট, পাঞ্জাবী কিছুই তারা বাদ রাখল না।

এখন দেখি ছেলেদের বড় বড় ঘড়িগুলো পর্যন্ত তাদের হাতে।
এদিকে ছেলেরা বন্ধুদের দোস্ত বলে ডাকে তা দেখে তারাও বান্ধবীদের দোস্ত বলে ডাকা শুরু করে দিল যা আগে করত না।
ছেলেদের থেকে মামা ডাকটাও শিখে নিল।

কিন্তু প্রবলেম হল সবজায়গায় প্রয়োগ করতে পারছে না কিন্তু যে কম করছে
তাও না
এরকম তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে ছেলেদের ফলো করে থাকে, সেই সাথে আরো বিপদজনকভাবে অনুকরণ ও অনুসরণ করে চলেছে টিভি সিরিয়াল  মুভি মডেলিং ও পর্ণ স্টারদের কেও,

বর্তমান মেয়েরা যদি পারত ছেলেদের মত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে চেইল খুলে দিও প্রশ্রাবও করত।

কিন্তু এটা করতে গেলে ব্যাপারটা ছেলেদের সাথে নয় বরং এক বিশেষ প্রাণীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ন হয়ে যায় তাই করছে না।

ছেলেরা আবার তাদের আত্ম সম্মানের ব্যাপারে অনেক সচেতন।
তা না হলে তারাও পরত থ্রি পিচ, টু পিচ, ডেন্ডি ডাইস, শাড়ি, পাখি ড্রেস, খুশি ড্রেস, ঝাড়া ড্রেস, ফুরাইন ড্রেস ইত্যাদি।

কিন্তু ছেলেদের আত্মসম্মান রয়েছে তাই
আমরা ছেলেরা কাউকে ফলো করতে যাইনা...

৩৫+ মহিলারা যখন আটা- ময়দা আর ফরমালিন মিশানো বডিস্প্রে মেরে রাস্তায় বের হয় তখন ১৫+ কোন ছেলের কুদৃষ্টিতে তাকানো মনে হয় তারা বেশ উপভোগ করে।
এটাও প্রায়ই লক্ষ্য করি যখন কি না পুরুষ ছেলে গুলো তারঁ দিকে তাকায় তখন বুকের ওড়না সরিয়ে দেয় হাটাঁ চলা কথা বলার স্টাইল সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়,
হইত সে এমনটিই বুঝাতে চাই যে আমি
খুব সেক্সি হট উপভোগ্য বস্তু
আমাকে ভোগ করো,
আসলে নিজেকে সে ভোগ্য বস্তু হিসাবেই
তুলে ধরতে জেনো আজ বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করে সম্মানবোধ করে।

কেন জানিনা আপনারা এমন করেন!!
রাস্তায় এভাবে চলাফেরা করেন।

আপনারা কি জানেন!!
আপনাদের দিকে একটা ছেলে কুদৃষ্টিতে তাকানো মানে সে আপনাকে একবার ধর্ষিণ করছে??????
এত গুলো মানুষের চোখের ধর্ষিত হতে লজ্জা  করেনা.হায়া লাগে না ..??

হুম আমি জানি আপনাদের লজ্জা করে না নিশ্চয়  কারণ আপনারা সমাজের রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা
“রাতের পরী” দের চাইতেও নিকৃষ্ট।

তারা তো টাকার জন্য এই সব কাজ করে
থাকে।
আর আপনারা কিসের জন্য এভাবে চলেন??
নিজেকে মডার্ন হিসাবে উপস্থাপন করতে??
নাকি ওদের চেয়ে মানসম্মত পরী হতে?
বাহঃ বাহঃ বাহঃ নারী,,,,,,😲

আপনাদের তো আবার বোরকা থাকতে হবে একবারে ফিটিং (খাটি বাংলা ভাষা) যাতে করে আপনার শরীরের সুগঠিত  পাহাড় পর্বত সবকিছু স্পস্ট বুঝা যায়।

আচ্ছা আপনারা বোরকা পরেন নাকি বোরকা নামক পবিত্র পোষাকটির আপমান করেন ?
তা একবার ভেবে দেখেছেন কি ??

আর ছোট বোনদেরকে কি বলবো বুকের ওড়না কোথায় থাকে তা তারা নিজেরাও জানেনা।☺☺
আর জানার প্রয়োজন বোধও করে না।
ওরা বেশ ইনজয় করে ওদের জিনিসগুলো নিয়ে ছেলেদের কে আহবান করে
জাগিয়ে তুলে নিরবে কাছে ডাকে,
ওরা তো এমনি হবে
কারন তাদের মা গুলো যে রকম সন্তান গুলোও ঠিক ঐ রকম।
তা না হলে সন্তানের নোংরা চলা ফেরা মায়েরা কোনদিনও মেনে নিতে পারতেন না।

তাই আজ নেপোলিয়নের উক্তিটা একটু চেন্জ করে বলতে চাই,
"তুমি আমাকে একটা চরিত্রবান মা দাও,
আমি তোমাকে একটা চরিত্রবান জাতি দেব"।😒

সেই সাথে আরো কিছু কথা মনে করিয়ে দিতে চাই আপনাদের জ্ঞাতার্থে
যে সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থা  ইসলাম
একজন নারী পুরুষ কে কি শিক্ষা দেয়,

আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদেরকে সমগ্র মাখলুকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা নারী ও পুরুষ হিসেবে মানবজাতির শ্রেণী বিন্যাস করেছেন। মানুষকে একই আত্মা থেকে সৃষ্টি করলেও তিনি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفۡسٖ وَٰحِدَةٖ وَخَلَقَ مِنۡهَا زَوۡجَهَا وَبَثَّ مِنۡهُمَا رِجَالٗا كَثِيرٗا وَنِسَآءٗۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِي تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبٗا ١ ﴾ [النساء : ١] 

“হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফস থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাক। আর ভয় কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক”।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব সৃষ্টি করার পর নারী ও পুরুষ উভয়কে কিছু বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। নারী যেমন কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী অনুরূপভাবে পুরুষেরও রয়েছে কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। নারী ও পুরুষের বৈশিষ্টগত পার্থক্যটা অনেকটাই সৃষ্টিগত; যা আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না। আর কিছু পার্থক্য আছে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে। নারীদের দায়িত্ব ও পুরুষের দায়িত্ব কখনো এক নয়। একজন পুরুষ যে দায়িত্ব পালন করতে পারে নারীরা তা পারে না। আবার একজন নারী যে কাজ করতে পারে একজন পরুষ তা করতে পারে না। নারীর জন্য সন্তান লালন-পালন, স্বামীর খেদমত, বাড়ীর ঘরের রান্না-বান্না ইত্যাদি কর্মই হল শোভনীয়। আর পুরুষের জন্য খেত-খামার, চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি শোভনীয়। নারী ও পুরুষের কর্ম ক্ষেত্র ও দায়িত্ব ভিন্ন হলেও আল্লাহ তা‘আলার নিকট মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের বিবেচনা হলো তাকওয়া। যে ব্যক্তি আল্লাহকে যত বেশি ভয় করবে, চাই সে নারী হোক বা পুরুষ হোক আল্লাহর নিকট তার মূল্যায়নটা তত বেশি হবে। আল্লাহ তা‘আলা কোনো নারী বা পুরুষকে তার নেক আমলের প্রতিদান দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য প্রদর্শন করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقۡنَٰكُم مِّن ذَكَرٖ وَأُنثَىٰ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ شُعُوبٗا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓاْۚ إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٞ ١٣ ﴾ [الحجرات: ١٣] 

“হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।

যদি কোনো নারী বা পুরুষ মুমিন থাকা অবস্থায় নেক আমল করে আল্লাহ তা‘আলা তাদের উভয়কে জান্নাত দান করবেন তাদের প্রতি কোনো প্রকার জুলুম করা হবে না এবং বৈষম্য করা হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَمَن يَعۡمَلۡ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَدۡخُلُونَ ٱلۡجَنَّةَ وَلَا يُظۡلَمُونَ نَقِيرٗا ١٢٤ ﴾ [النساء : ١٢٤] 

“আর পুরুষ কিংবা নারীর মধ্য থেকে যে নেক কাজ করবে এমতাবস্থায় যে, সে মুমিন, তাহলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি খেজুর-বীচির আবরণ পরিমাণ জুলুমও করা হবে না”।

অপর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿ مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٧ ﴾ [النحل: ٩٧] 

“যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী হোক, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব”।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿ مَنۡ عَمِلَ سَيِّئَةٗ فَلَا يُجۡزَىٰٓ إِلَّا مِثۡلَهَاۖ وَمَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَدۡخُلُونَ ٱلۡجَنَّةَ يُرۡزَقُونَ فِيهَا بِغَيۡرِ حِسَابٖ ٤٠ ﴾ [غافر: ٤٠] 

কেউ পাপ কাজ করলে তাকে শুধু পাপের সমান প্রতিদান দেওয়া হবে, আর যে পুরুষ অথবা নারী মুমিন হয়ে সৎকাজ করবে, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেখানে তাদেরকে অগণিত রিজিক দেওয়া হবে।

আল্লাহ তা‘আলা নারী ও পুরুষের মাঝে পর্দার বিধান রেখেছেন। নারীদের উপর পর পুরুষ থেকে পর্দা করা ফরয করেছেন। পর্দার বিধান নারীর কল্যাণের জন্যই রাখা হয়েছে। যদি পর্দার বিধান না রাখা হতো তাহলে নারী ও পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার কারণে সমাজে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটত। যেমনটি বর্তমানে যে দেশ বা সমাজে পর্দা নাই সে সমাজের অবস্থার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই। সেখানে প্রতিনিয়তই নারীরা জলুম নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। নারী ও পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা মানব সমাজকে কলুষিত করে এবং সমাজে ফেতনা-ফ্যাসাদ বৃদ্ধি করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِي النَّاسِ فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ» 

“আমার পর আমি পুরুষের জন্য নারীর ফেতনার চেয়ে অধিক ক্ষতিকারক কোনো ফিতনা রেখে যাইনি।

নারীর ফেতনাই হল বড় ফেতনা। এ জন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে নারীদের বিষয়ে অধিক সতর্ক করেছেন। যাতে এ ফিতনা থেকে বেঁচে থাকা যায় এবং পর্দার বিধান রেখেছেন। মাহরাম অর্থাৎ যাদের সাথে চিরতরে বিবাহ অবৈধ, তারা ব্যতীত বেগানা অর্থাৎ, যাদের সাথে বিবাহ হারাম নয়, এমন লোকদের সাথে পর্দা করতে হয়।

ভাল লাগলে আপনার সুন্দর মতামত জানাবেন...
পোষ্টটা কারো মনে কষ্টের কারন হলে আমি খুবই দুঃখিত।

-ফারজানা লিমা

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.