সে যদি আমাকে ডাকতে ডাকতে তার সকল শক্তি নিঃশেষ করে ফেলে , তবুও আমি তার ডাকে সাড়া দিবো না; যতোক্ষণ না সে তার উপর আমার যে অধিকার রয়েছে- সেদিকে নজর দিবে।"
“হে আল্লাহ! আমার রেজাল্ট ভাল করিয়ে দাও!”
“হে আল্লাহ! আমাকে একটা ভাল চাকরি মিলিয়ে দাও!”
“হে আল্লাহ! আজকে থেকে ভাল হয়ে যাবো, আমাকে এটা পাইয়ে দাও!”
“হে আল্লাহ! আমার দলটিকে তুমি জিতিয়ে দাও!”
.
.
.
“এত্ত দুয়া করি, কেন আল্লাহ কবুল করেন না?”....
.
ওয়াহাব ইবন মুনাব্বিহ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'এক ব্যক্তি খুব মিনতি সহকারে(আল্লাহকে) ডাকছিলো। আল্লাহর নবি মূসা আ. তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, "হে আমার রব! তার প্রতি দয়া করো!" আল্লাহ তা'আলা তার নিকট ওহি প্রেরণ করে বলেন, "সে যদি আমাকে ডাকতে ডাকতে তার সকল শক্তি নিঃশেষ করে ফেলে , তবুও আমি তার ডাকে সাড়া দিবো না; যতোক্ষণ না সে তার উপর আমার যে অধিকার রয়েছে- সেদিকে নজর দিবে।"
.
(বই: রাসূলের চোখে দুনিয়া, ইমাম আহমাদ রহ.)
অধিকারের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-হজরত মুয়াজ ইববে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি বিশ্বনবীর পিছনে ‘উফায়ের’ নামক গাধার উপর বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ‘হে মুয়াজ! তুমি কি জান বান্দার উপর আল্লাহর হক এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কি? মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- আমি বললাম, এ ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই বেশি জানেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-বান্দার উপর আল্লাহর হক হলো- একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না।আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হলো- যে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করে না তাকে শাস্তি না দেয়া।মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! এ ব্যাপারে মানুষকে সুসংবাদ প্রদান করি?তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন- তাদের সুসংবাদ দিও না, কারণ তারা হাত-পা গুটিয়ে পরনির্ভরশীল হয়ে কাজ-কর্ম ওইবাদাত করা ছেড়ে বসে থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
.
— WL এর সৌজন্যে।
কোন মন্তব্য নেই