তোমরা আল্লাহর রজ্জু কে আকড়ে ধরো
আজকের এই ফেতনার যুগে মুসলিমেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত।প্রত্যেক দলই নিজেদের জান্নাতি বলছে।যেমনঃ-
হানাফি,সাফেঈ,হাম্বলি,আহলে হাদিস,আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত,চরমুনাই,শিয়া,সুন্নি,কাদরিয়া,চিশতিয়া,ইত্যাদি।প্রত্যেক দলই বলছে তারা জান্নাতে যাবে।প্রত্যেক দলই বলছে আমরাই একমাত্র সঠিক দল,বাকিগুলো ভ্রান্ত।তাহলে সঠিক দল কোনটা????
রাসূল (সঃ) বলেছেন,
“বনি-ইসরাইল ৭২ দলে বিভক্ত ছিল এবং অবশ্য্ই আমার এই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। ইহাদের সকল দলই দোযখে যাবে এক দল ব্যতিত। সাহাবা (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, সেটি কোন দল? নবী (সঃ) বললেন, ” আমি এবং আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি, তার উপর যারা থাকবে।”
(তিরমিজী ও আবু দাউদ, রেওয়ায়েতে মেশকাত শরীফ ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৬৩)
তাহলে নবিজি(সঃ)এর হাদিস অনুযায়ী সেই সঠিক দল কোনটা?
এই সমস্ত দল,মাজহাব,পির-মুরিদি,এগুলো কি নবিজির সময় ছিলো?তার সাহাবিদের সময় ছিলো?
তাহলে এই সমস্ত দল সঠিক হয় কি করে?
তাই একমাত্র সঠিক দল হল তারাই যারা নিজেদের মুসলমান বলে,এবং তারা বিভিন্ন দল তৈরি করেনা।
মহান আল্লাহ বলেনঃ-
“যারা নিজেদের দ্বীনকে খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের সাথে আপনার (হে রাসূল) কোন সম্পর্ক নেই।” (সূরা আনআম-৬, আঃ-১৫৯)
“তাঁর (আল্লাহর) দিকে রুজু হও, আল্লাহকে ভয় কর, সালাত ক্বায়েম কর, আর সেই মুশরিকদের মধ্যে সামিল হয়ো না, যারা নিজেদের দ্বীনকে খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে এবং প্রত্যেক দলই নিজেরটা নিয়েই সন্তুষ্ট।” (সুরা রুম-৩০, আঃ ৩১, ৩২)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসুলের অনুসরণ কর, আর তোমাদের আমলগুলি ধ্বংস করো না।” (সূরা মুহাম্মদ-৪৭, আঃ ৩৩)
“তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।” (সূরা আল-ইমরান, আঃ ৩ঃ১০৫)
“তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার আনুগত্য কর। তাঁকে ছাড়া আর কোন অলিদের আনুগত্য করো না। তোমরা কম লোকই উপদেশ গ্রহণ কর।” (সুরা আ’রাফ-৭, আঃ ৩)
) “তোমরা সকলে একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে আকড়িয়ে ধর, সাবধান! বিচ্ছিন্ন হয়ো না।” (সূরা আল ইমরান-৩, আঃ ১০৩)
তাহলে আমরা এইসব দল নিয়ে ব্যস্ত আছি কেন?আসুন ভাইয়েরা আমার,আমরা নিজেদের মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেই,এবং শুধুমাত্র রাসুল(সঃ) এর দেখান পথে আল্লাহ সন্তুস্টি তালাশ করি।এবং জান্নাতি দলের অন্তরভুক্ত হয়ে যাই।
একটা কথা মনে রাখবেন,যা নবিজি(সঃ) করেননি তা করে আমরা জান্নাতি হওয়ার আশা করলে ভুল হবে।
আসুন আমরা আজ থেকে হাদিস এবং কুরআন অনুযায়ি নিজেদের জীবন পরিচালনা করি।আর একটাই কাতারে এসে দারাই।যদিও অভ্যাস পরিবর্তন করা খুব কঠিন কাজ।
আল্লাহ বিশ্বাসীদের বুঝার এবং নিজেদের সংশোধন করার তৌওফিক দান করুন।আমিন।
কোন মন্তব্য নেই