প্রচলিত ২০টি জাল হাদিস
আমাদের সমাজে প্রচলিত জাল হাদিস যা আমাদের সমাজে হাদিস নামে প্রচলিতঃ-
১.(আল্লাহ বলেন) আমি আমার নিজের মউপর শপথ করছি যে,আহমদ এবং মোহাম্মদ নামের কাউকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে না।
২.তোমরা আলেমদের অনুসরন করবে;কারন তারা দুনিয়া ও আখিরাতের প্রদীপ।
৩.মৃত ব্যক্তিকে ৭ দিন পর্যন্ত তার বাড়ির মানুষদের দেখতে পায়।
৪.আল্লাহ আশুরার দিনে আসমান-যমীন সৃষ্টি করেছেন।
৫.জান্নাতের বাসীরা দাড়ি বিহীন হবেন,শুধু মুসা ইবনে ইমরান (আ) বাদে,তার দাড়ি হবে নাভী পর্যন্ত।
৬.দেশ প্রেম ইমানের অংশ।
৭.মাসজিদের মধ্যে কখাবার্তা নেকী বা সওয়াব খেয়ে ফেলে।
৮.বিবাহিতের দু রাকাত নামায অবিবাহিতের ৭০ রাকাত থেকে উত্তম।
৯.আরাফার দিনের সিয়াম ৬০ বছরের সিয়ামের মত।
১০.আমার উম্মতের আলেমগণ বনী ইসরাঈলের নবীগনদের মত।
১১.মুমিনের কলব আল্লাহর আরশ
১২.সুলাইমান (আ) এর আংটির নক্সার বা খোদিত লেখাটা ছিলঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
১৩.নবী(স) কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টি করতেন না।
১৪.জ্ঞানীদের কালি শহীদের রক্ত থেকে অধিক মর্যাদার।
১৫.যে ব্যক্তি মাসজিদে মধ্যে দুনিয়াবী কথা বোলবে আল্লাহ তার ৪০ বছরের আমল নষ্ট করে দিবেন।
১৬.আলিমের ঘুমও ইবাদত।
১৭. খাবার খাওয়ার সময় সালাম দেওয়া যাবে না।
১৮.জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন দেশেই হলে যাও।
১৯.রমজানের একটি সুন্নত একটি ফরজের সমান।
২০.পাগড়ী পরে দু’রাকাত সালাত ৭০ রাকাতের সমান।
(1-20 জাল হাদিস এর reference: হাদিসের নামে জালিয়াতি,(২৩৮-২৪০) পৃষ্টা
“আনাস(রা)বলেনঃ এ কথা তোমাদেরকে বহু হাদিস বর্ননা করতে আমাকে বাধা দেয় যে,নবী(স) বলেছেনঃ যে আমার উপর মিথ্যা আরোপ করবে সে যেন জাহান্নাম তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়”(বুখারী ১ম খন্ড ১০৯ নং হাদিস)
নবী করিম (সঃ) বলেছেন, ''একজন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতোটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বলবে।'' (সহীহ মুসলিম, হাদীস- ১/১০)
Share করে সবাইকে জানান —!
কোন মন্তব্য নেই